Latest News (সর্বশেষ খবর)
১০ জুন ২০১৪খ্রিস্টাব্দ মঙ্গলবার ২৬ জৈষ্ট্য ১৪২১ বাংলা,
টিলার ওপর নির্মিত সিলেট বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সীমানা প্রাচীর ধসে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে লাক্কাতুড়া চা বাগানের কাছে এ ঘটনায় নিহতরা হলো-
নাসিমা বেগম (১৬), তার ভাই জাহেদ আহমদ (১৪) এবং তাদের চাচাতো ভাই রুহুল
আমীন (১৩)।
নাসিমা-জাহেদের বাবা আজান আলী লাক্কাতুড়া চা বাগানের শ্রমিক। রুহুলের বাবা প্রয়াত কুতুব আলীও একই বাগানের শ্রমিক ছিলেন।
স্টেডিয়ামের সীমানা প্রাচীরের পাদদেশে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করে পরিবারটি।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার এজাজ আহমদ জানান, নাসিমা দুই ভাইকে নিয়ে একটি ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাতে দেয়াল ধসে পড়লে ঘুমন্ত অবস্থায়ই তাদের মৃত্যু হয়।
লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর সীমানা প্রাচীর নির্মাণে নিম্নমানের কাজকে দায়ী করে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চা শ্রমিকরা বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কাছে বিমানবন্দর-কোম্পানীগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন। প্রায় ১ ঘণ্টা পর সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
টুকেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদ আহমদ জানান, টিলার পাদদেশে বসতি থাকলেও সীমানা প্রাচীরে কোনো গার্ডার (প্রটেকশন পিলার) না থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
‘‘তাড়াহুড়ো করে দেয়াল নির্মাণ ও দুর্নীতির কারণে এমন ঘটনা ঘটলো।’’
বার বার ঝুঁকির কথা সংশ্লিষ্টদের জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন নিহত নাসিমা-জাহেদের বাবা আজান আলী।
দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করা হবে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা এজাজ বলেন, “বর্ষায় পাহাড়-টিলার পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সনাক্ত করে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হবে।”
নাসিমা-জাহেদের বাবা আজান আলী লাক্কাতুড়া চা বাগানের শ্রমিক। রুহুলের বাবা প্রয়াত কুতুব আলীও একই বাগানের শ্রমিক ছিলেন।
স্টেডিয়ামের সীমানা প্রাচীরের পাদদেশে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করে পরিবারটি।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার এজাজ আহমদ জানান, নাসিমা দুই ভাইকে নিয়ে একটি ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাতে দেয়াল ধসে পড়লে ঘুমন্ত অবস্থায়ই তাদের মৃত্যু হয়।
লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর সীমানা প্রাচীর নির্মাণে নিম্নমানের কাজকে দায়ী করে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চা শ্রমিকরা বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কাছে বিমানবন্দর-কোম্পানীগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন। প্রায় ১ ঘণ্টা পর সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
টুকেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদ আহমদ জানান, টিলার পাদদেশে বসতি থাকলেও সীমানা প্রাচীরে কোনো গার্ডার (প্রটেকশন পিলার) না থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
‘‘তাড়াহুড়ো করে দেয়াল নির্মাণ ও দুর্নীতির কারণে এমন ঘটনা ঘটলো।’’
বার বার ঝুঁকির কথা সংশ্লিষ্টদের জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন নিহত নাসিমা-জাহেদের বাবা আজান আলী।
দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করা হবে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা এজাজ বলেন, “বর্ষায় পাহাড়-টিলার পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সনাক্ত করে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হবে।”
আটক র্যাব সদস্যদের বাহিনীতে ফেরত
রাজধানীর উত্তরখানে ‘জমি দখল’ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার দুই র্যাব সদস্যকে তাদের নিজ নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এই দুইসদস্যসহ পাঁচজনকে
রোববার দুপুরে দ্রুত বিচার আইনে গ্রেপ্তার করে উত্তরখান থানা পুলিশ। সোমবার তাদের
আদালতে হাজির করার পর তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেয়।
র্যাব সদস্যের দুজনের একজন সেনাবাহিনীর মিজানুর রহমান (৩২) এবং অন্যজন নৌবাহিনীর আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (৩০)।
জমি দখলে সহায়তা করতে গিয়ে ভাংচুর,লুটপাট এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
এই বিষয়ে র্যাবের মুখপাত্র এটিএম হাবিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গ্রেপ্তার সদস্যদের বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী র্যাব সদর দপ্তর কাজ করবে।
এই দুজনের কর্মস্থল কোথায় ছিল- জানতে চাইলে সরাসরি উত্তর এড়িয়ে তিনি বলেন, “শুনেছি তারা ছুটিতে ছিলেন। তারা স্বজনের ফোন পেয়ে উত্তরখানে গিয়ে একটি ‘অপ্রীতিকর’ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন।”
মিজান ও মাহমুদকে সোমবার দুপুরে ঢাকার মহানগর হাকিম হাসিবুল হকের আদালতে নেয়া হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরখান থানার উপপরিদর্শক এসকান্দার আলী তাদের নিজ নিজ বাহিনীতে পাঠিয়ে দেয়ার আবেদন করা হলে তা মঞ্জুর হয় বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান।
তিনি বলেন, “গ্রেপ্তার বাকি তিনজনের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।”
এই তিনজন হলেন- জহির উদ্দীন (৩৫), শেখ মোহাম্মদ নাহিদ (৩১) ও রিফাত হক পিয়াল (২০)।
যে জমির দখল নিয়ে মামলায় জড়িয়েছেন র্যাবের দুই সদস্য, ওই জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে।
এর মধ্যে বাইরের পক্ষ রোববার দুপুরে জমিতে অবস্থানকারী পক্ষকে উৎখাত করতে গেলে স্থানীয়রা পাঁচজনকে ধরে পুলিশে দেয়।
দক্ষিণ ফৌজির বাতান এলাকার কয়েক কাঠার ওই জমি ভোগদখলকারী হুমায়ুন কবির মামুন নামে একজন সেখানে নয়টি ঘর তুলে তা ভাড়া দিয়েছেন। রোকেয়া বেগম নামে এক নারীও ওই জমির মালিকানা দাবি করছেন।
র্যাব সদস্যের দুজনের একজন সেনাবাহিনীর মিজানুর রহমান (৩২) এবং অন্যজন নৌবাহিনীর আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (৩০)।
জমি দখলে সহায়তা করতে গিয়ে ভাংচুর,লুটপাট এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
এই বিষয়ে র্যাবের মুখপাত্র এটিএম হাবিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গ্রেপ্তার সদস্যদের বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী র্যাব সদর দপ্তর কাজ করবে।
এই দুজনের কর্মস্থল কোথায় ছিল- জানতে চাইলে সরাসরি উত্তর এড়িয়ে তিনি বলেন, “শুনেছি তারা ছুটিতে ছিলেন। তারা স্বজনের ফোন পেয়ে উত্তরখানে গিয়ে একটি ‘অপ্রীতিকর’ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন।”
মিজান ও মাহমুদকে সোমবার দুপুরে ঢাকার মহানগর হাকিম হাসিবুল হকের আদালতে নেয়া হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরখান থানার উপপরিদর্শক এসকান্দার আলী তাদের নিজ নিজ বাহিনীতে পাঠিয়ে দেয়ার আবেদন করা হলে তা মঞ্জুর হয় বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান।
তিনি বলেন, “গ্রেপ্তার বাকি তিনজনের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।”
এই তিনজন হলেন- জহির উদ্দীন (৩৫), শেখ মোহাম্মদ নাহিদ (৩১) ও রিফাত হক পিয়াল (২০)।
যে জমির দখল নিয়ে মামলায় জড়িয়েছেন র্যাবের দুই সদস্য, ওই জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে।
এর মধ্যে বাইরের পক্ষ রোববার দুপুরে জমিতে অবস্থানকারী পক্ষকে উৎখাত করতে গেলে স্থানীয়রা পাঁচজনকে ধরে পুলিশে দেয়।
দক্ষিণ ফৌজির বাতান এলাকার কয়েক কাঠার ওই জমি ভোগদখলকারী হুমায়ুন কবির মামুন নামে একজন সেখানে নয়টি ঘর তুলে তা ভাড়া দিয়েছেন। রোকেয়া বেগম নামে এক নারীও ওই জমির মালিকানা দাবি করছেন।
যানজটে আটকে গেল ছিনতাইকারী
গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে ছিনতাইয়ের সময় রাজধানীর বনানীতে চারজনকে আটক করে পিটিয়ে পুলিশে দিয়েছে জনতা।
এই ছিনতাইকারীরা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মীকে গাড়িতে তুলে
নিয়ে পিটিয়ে আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিচ্ছিল। তবে যানজটে আটকে পড়ায় তাদের ধরে
ফেলে জনতা।
সোমবার বেলা ১২টায় বনানীতে ছিনতাইয়ের এই চেষ্টা চলে বলে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। আটক চারজনের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
তারা হলেন- মামুন, আবু বকর, মোস্তফা কামাল লিটন ও আল-আমিন।
ছিনতাইয়ের শিকার ব্যক্তিরা হলেন- কসমো লিমিটেড নামের একটি ইলেকট্রনিক কোম্পানির কর্মকর্তা জানে আলম চৌধুরী প্লাবন (২৫) এবং অফিস সহকারী ঈমাম মাহাদী ইমন (১৮)।
ইমন সাংবাদিকদের বলেন,অফিসকর্মীদের বেতন দিতে ব্র্যাক ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে ২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা তুলে তা বনানী ন্যাশনাল ব্যাংকে জমা দিতে যাওয়ার পথে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন তারা।
“নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তারা বলে, তোদের থানায় যেতে হবে। তোদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। তাড়াতাড়ি মাইক্রোতে উঠ।”
টাকা না দেয়ায় প্লাবন ও ইমনকে মারধর শুরু করে ছিনতাইকারীরা। এক পর্যায়ে প্লাবনকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয়া হয় বলে ইমন জানান।
প্লাবনকে নিয়ে গাড়িটি পালাতে গেলে ইমন চিৎকার করেন। তখন আশপাশের মানুষ জড়ো হয়ে ধাওয়া দেয়।
“রাস্তায় জ্যাম (যানজট) থাকায় বনানী বাজার ও মসজিদের মাঝামাঝি এলাকায় জনতা গাড়িটা আটকে ফেলে। স্যার (প্লাবন) ও টাকার ব্যাগটি উদ্ধার করি। গাড়ির মধ্যে থাকা কয়েকজন পালিয়ে যায়। বাকিদের ধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয় পাবলিক,” বলেন ইমন।
খবর পেয়ে গিয়ে চারজনকে আটক করে বনানী থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। সেখানে আসেন ইমনও।ইমনের দুই হাতে আঘাতের চিহ্ন এবং কানে জমাট বাঁধা রক্ত দেখা যায়। তার চোয়ালও ছিল ফোলা।
প্লাবনের মাথা ফেটে যাওয়ায় তাকে বনানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বনানী থানার ওসি ভূঁইয়া মাহবুব হাসান সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেপ্তার চারজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছে।
মামুন এর আগেও পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বলে জানান ওসি।
ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মাইক্রেবাসে একটি নষ্ট ওয়াকিটকি এবং একটি হ্যান্ডকাপ পেয়েছে পুলিশ।
এই চারজন সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য বলে পুলিশের ধারণা। ওসি বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।
সোমবার বেলা ১২টায় বনানীতে ছিনতাইয়ের এই চেষ্টা চলে বলে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। আটক চারজনের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
তারা হলেন- মামুন, আবু বকর, মোস্তফা কামাল লিটন ও আল-আমিন।
ছিনতাইয়ের শিকার ব্যক্তিরা হলেন- কসমো লিমিটেড নামের একটি ইলেকট্রনিক কোম্পানির কর্মকর্তা জানে আলম চৌধুরী প্লাবন (২৫) এবং অফিস সহকারী ঈমাম মাহাদী ইমন (১৮)।
ইমন সাংবাদিকদের বলেন,অফিসকর্মীদের বেতন দিতে ব্র্যাক ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে ২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা তুলে তা বনানী ন্যাশনাল ব্যাংকে জমা দিতে যাওয়ার পথে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন তারা।
“নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তারা বলে, তোদের থানায় যেতে হবে। তোদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। তাড়াতাড়ি মাইক্রোতে উঠ।”
টাকা না দেয়ায় প্লাবন ও ইমনকে মারধর শুরু করে ছিনতাইকারীরা। এক পর্যায়ে প্লাবনকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয়া হয় বলে ইমন জানান।
প্লাবনকে নিয়ে গাড়িটি পালাতে গেলে ইমন চিৎকার করেন। তখন আশপাশের মানুষ জড়ো হয়ে ধাওয়া দেয়।
“রাস্তায় জ্যাম (যানজট) থাকায় বনানী বাজার ও মসজিদের মাঝামাঝি এলাকায় জনতা গাড়িটা আটকে ফেলে। স্যার (প্লাবন) ও টাকার ব্যাগটি উদ্ধার করি। গাড়ির মধ্যে থাকা কয়েকজন পালিয়ে যায়। বাকিদের ধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয় পাবলিক,” বলেন ইমন।

ঈমাম মাহাদী ইমন।
প্লাবনের মাথা ফেটে যাওয়ায় তাকে বনানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বনানী থানার ওসি ভূঁইয়া মাহবুব হাসান সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেপ্তার চারজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছে।
মামুন এর আগেও পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বলে জানান ওসি।
ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মাইক্রেবাসে একটি নষ্ট ওয়াকিটকি এবং একটি হ্যান্ডকাপ পেয়েছে পুলিশ।
এই চারজন সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য বলে পুলিশের ধারণা। ওসি বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।
কলেজছাত্রদের দ্বন্দ্বে স্কুলছাত্রকে হত্যা
ফুটবল টুর্নামেন্টের চাঁদা তোলা নিয়ে ঢাকা সিটি কলেজের দুই দল শিক্ষার্থীর দ্বন্দ্বে জিগাতলায় হামলায় মারা গেছে এক স্কুলছাত্র।
সোমবার বিকালের এই ঘটনায় নিহত আইয়াজ উদ্দিন হক গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরিজ
স্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কলেজে ভর্তির প্রস্তুতি
নিচ্ছিল।
একটি ফুটবল টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে ঢাকা সিটি কলেজের দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বে আশপাশের অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও জড়িয়ে পড়ার পর এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শহীদুল হকের ছেলে আইয়াজ পরিবারের সঙ্গে কলাবাগানে থাকত। তার বড় ভাই আশদীন হক ঢাকা সিটি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়েন।
কলেজে ফুটবল টুর্নামেন্টের চাঁদা উঠানো নিয়ে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জের ধরে সোমবার দুপুরে মারধরের শিকার হন আশদীন।
নিজের ওপর হামলাকারী হিসেবে শুভ, জিসান, মশিউরসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে আশদীন অভিযোগ করেছেন, এরাই তার ভাইকে হত্যা করেছে।
ধানমণ্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অশোক কুমার চৌহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে বিভিন্ন কলেজ এবং স্কুলের শিক্ষার্থীরা দুই গ্রুপের হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।”
পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আইয়াজকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে পুলিশ কর্মকর্তা অশোক জানান।
তবে ধানমণ্ডি থানার এএসআই জাহাঙ্গীর হোসেন হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, “বিকালে জিগাতলা এলাকায় বিজিবির চার নম্বর গেইটের সামনে এক কিশোরের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। আমি লাশটি ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি।”
আইয়াজের ওপর হামলাকারী দুজনকে জনতা ধরে পুলিশে দিয়েছ।
আইয়াজের ভাই আশদীন সাংবাদিকদের বলেন, কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের চাঁদা ওঠানো নিয়ে কয়েকদিন ধরে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের দ্বন্দ্ব চলছিল।
এর জের ধরে গত শনিবার ও সোমবার দুপুরে কলেজের নিচে শুভ, জিসান, মশিউরসহ ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ১০/১৫ জন আশদীনকে মারধর করে।
“এরপর বিকালেই জানতে পারি, আমার ছোট ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। ওরাই...ওরাই আমার ভাইকে মেরেছে,” বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
আইয়াজের পিঠে ছুরিকাঘাতের দুটি জখম রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতের মধ্য বয়সী এক নারী স্বজন হাসপাতালে আহাজারি করছিলেন, “ওকে পিটিয়ে জখম করে মেরেছে...ওর পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে দাঁড়িয়ে শহীদুল হক কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলছিলেন, “ওরা পিটিয়ে আমার ছেলের পা-ও ভেঙে দিয়েছে।”
আইয়াজের বাবা জানান, বিকালে ইস্টার্ন প্লাজা থেকে বাড়ি ফেরার সময় খবর নিতে ছোট ছেলের মোবাইলে ফোন করে পুলিশের কাছে খবরটি পান।
“একটা অপরিচিত কণ্ঠ ফোন ধরে বলে, ‘স্যার, আমি ধানমণ্ডি থানার এএসআই জাহাঙ্গীর। আপনার ছেলে অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয়েছে। আপনি এখনি চলে আসেন’।”
খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে এলেও ছেলেকে আর জীবিত পাননি শহীদুল। ছেলের
মৃত্যুর জন্য কাকে দায়ী করছেন- সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি কান্নাজড়িত
কণ্ঠেই বলেন, “সময় হলে আমি আপনাদের সব বলবো-কিভাবে আমার ছেলে মারা গেল।
প্লিজ এই মুহূর্তে আপনারা আমাকে কোনো প্রশ্ন করবেন না।”
শহীদুল জানান, আইয়াজ কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য কোচিং করছিল। এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল সে।
আইয়াজের বন্ধুরা চুপ
আইয়াজ কিভাবে মারা গেল, কেনই বা সে জিগাতলা গেল, কাদের সঙ্গে গেল- সেই প্রশ্নের কোনো উত্তর মিলছে না কারো কাছ থেকে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইয়াজের বেশ কয়েকজন বন্ধুকে নিজেদের মধ্যে কথা বলতে দেখা গেলেও অপরিচিত কেউ কাছে যেতেই তারা কথা থামিয়ে দিচ্ছিল।
প্রথম শ্রেণি থেকে আইয়াজের সহপাঠি সাকলাইন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভাইয়া, আমরা সত্যিই কেউই জানি না, কারো সঙ্গে আইয়াজের শত্রুতা ছিল কি না।
“আমরা শুনেছি ও মারা গেছে। শুধু এ কারণেই ওকে এক নজর দেখতে হাসপাতালে এসেছি।”
হাসপাতালে জড়ো হওয়া আইয়াজের অর্ধশত বন্ধুর কেউ মুখ খোলেনি। প্রশ্ন করা হলেই সবার কাছ থেকে একই উত্তর আসে- “আমরা কিছু জানি না।”
এই ছাত্রদের অনেকক্ষণ ধরে পর্যবেক্ষণ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর মধ্যবয়সী স্বজন মো. সালাম মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছেলেগুলার চোখ কইতাসে ওরা জানে, কিন্তু এখন ভয়ে কিছু বলতে চাইছে না।”
আইয়াজ সম্পর্কে বলতে গিয়ে সাকলাইন বলেন, “ওকে ছাড়া আমাদের আড্ডার আসর কখনো জমত না। ও নেই এটা আমি মেনে নিতেই পারছি না।”
একটি ফুটবল টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে ঢাকা সিটি কলেজের দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বে আশপাশের অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও জড়িয়ে পড়ার পর এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শহীদুল হকের ছেলে আইয়াজ পরিবারের সঙ্গে কলাবাগানে থাকত। তার বড় ভাই আশদীন হক ঢাকা সিটি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়েন।
কলেজে ফুটবল টুর্নামেন্টের চাঁদা উঠানো নিয়ে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জের ধরে সোমবার দুপুরে মারধরের শিকার হন আশদীন।
নিজের ওপর হামলাকারী হিসেবে শুভ, জিসান, মশিউরসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে আশদীন অভিযোগ করেছেন, এরাই তার ভাইকে হত্যা করেছে।
ধানমণ্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অশোক কুমার চৌহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে বিভিন্ন কলেজ এবং স্কুলের শিক্ষার্থীরা দুই গ্রুপের হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।”
পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আইয়াজকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে পুলিশ কর্মকর্তা অশোক জানান।
তবে ধানমণ্ডি থানার এএসআই জাহাঙ্গীর হোসেন হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, “বিকালে জিগাতলা এলাকায় বিজিবির চার নম্বর গেইটের সামনে এক কিশোরের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। আমি লাশটি ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি।”
আইয়াজের ওপর হামলাকারী দুজনকে জনতা ধরে পুলিশে দিয়েছ।
আইয়াজের ভাই আশদীন সাংবাদিকদের বলেন, কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের চাঁদা ওঠানো নিয়ে কয়েকদিন ধরে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রদের সঙ্গে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের দ্বন্দ্ব চলছিল।
এর জের ধরে গত শনিবার ও সোমবার দুপুরে কলেজের নিচে শুভ, জিসান, মশিউরসহ ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ১০/১৫ জন আশদীনকে মারধর করে।
“এরপর বিকালেই জানতে পারি, আমার ছোট ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। ওরাই...ওরাই আমার ভাইকে মেরেছে,” বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
আইয়াজের পিঠে ছুরিকাঘাতের দুটি জখম রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতের মধ্য বয়সী এক নারী স্বজন হাসপাতালে আহাজারি করছিলেন, “ওকে পিটিয়ে জখম করে মেরেছে...ওর পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে দাঁড়িয়ে শহীদুল হক কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলছিলেন, “ওরা পিটিয়ে আমার ছেলের পা-ও ভেঙে দিয়েছে।”
আইয়াজের বাবা জানান, বিকালে ইস্টার্ন প্লাজা থেকে বাড়ি ফেরার সময় খবর নিতে ছোট ছেলের মোবাইলে ফোন করে পুলিশের কাছে খবরটি পান।
“একটা অপরিচিত কণ্ঠ ফোন ধরে বলে, ‘স্যার, আমি ধানমণ্ডি থানার এএসআই জাহাঙ্গীর। আপনার ছেলে অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয়েছে। আপনি এখনি চলে আসেন’।”

শহীদুল জানান, আইয়াজ কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য কোচিং করছিল। এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল সে।
আইয়াজের বন্ধুরা চুপ
আইয়াজ কিভাবে মারা গেল, কেনই বা সে জিগাতলা গেল, কাদের সঙ্গে গেল- সেই প্রশ্নের কোনো উত্তর মিলছে না কারো কাছ থেকে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইয়াজের বেশ কয়েকজন বন্ধুকে নিজেদের মধ্যে কথা বলতে দেখা গেলেও অপরিচিত কেউ কাছে যেতেই তারা কথা থামিয়ে দিচ্ছিল।
প্রথম শ্রেণি থেকে আইয়াজের সহপাঠি সাকলাইন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভাইয়া, আমরা সত্যিই কেউই জানি না, কারো সঙ্গে আইয়াজের শত্রুতা ছিল কি না।
“আমরা শুনেছি ও মারা গেছে। শুধু এ কারণেই ওকে এক নজর দেখতে হাসপাতালে এসেছি।”
হাসপাতালে জড়ো হওয়া আইয়াজের অর্ধশত বন্ধুর কেউ মুখ খোলেনি। প্রশ্ন করা হলেই সবার কাছ থেকে একই উত্তর আসে- “আমরা কিছু জানি না।”
এই ছাত্রদের অনেকক্ষণ ধরে পর্যবেক্ষণ করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর মধ্যবয়সী স্বজন মো. সালাম মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছেলেগুলার চোখ কইতাসে ওরা জানে, কিন্তু এখন ভয়ে কিছু বলতে চাইছে না।”
আইয়াজ সম্পর্কে বলতে গিয়ে সাকলাইন বলেন, “ওকে ছাড়া আমাদের আড্ডার আসর কখনো জমত না। ও নেই এটা আমি মেনে নিতেই পারছি না।”
No comments:
Post a Comment